বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের পুত্র ও গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমদ সোহেল তাজের বিয়ে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা অব্যহত রয়েছে। সোহেল তাজের জন্ম ১৯৭০ সালের ৫ জানুয়ারি। বলা হচ্ছে বঙ্গ তাজের ৫৫ বছর বয়সী ছেলে সোহেল তাজ সাতটি বিয়ে করেছেন।
মূলত বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয় গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে। ওই দিন সোহেল তাজ তার ইনস্পায়ার ফিটনেস সেন্টারে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে বসে শাহনাজ পারভীন শিমুর হাতে আংটি পরিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন।
যা ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । এটি সোহেল তাজের সপ্তম বিয়ে অনেকেই বলতে থাকেন।
তাদের দাবি, কঙ্কা করিম ছিলেন সোহেল তাজের প্রথম বউ, এই বিয়ে ২০ বছর টিকেছিল। সোহেল তাজের ছয় বছরের বড় ছিলেন কঙ্কা করিম ,২৩ বছরের কঙ্কা করিমকে বিয়ে করেছিলেন তিনি ১৭ বছর বয়সে ! দ্বিতীয় বউ এক আমেরিকান নারী টিকেছিল দুই বছর! এক বুলগেরিয়ান নারী ছিকেন তৃতীয় বউ,যা এক বছর দুই মাস টিকেছিল!
এক কাশ্মীরি কন্যা ছিলেন চতুর্থ বউ । ২২ বছর বয়সী ছাত্রী যিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট মেডিক্যালের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ে টিকেছিল সাত মাসের মতো।
এরপর মাত্র দেড় মাসের সংসার টিকেছিল পঞ্চম বউয়ের সংসার। যিনি ছিলেন এক আমেরিকান ক্যাসিনো গার্ল ছিলেন । ! ঢাকাই বিহারি নারী ছিল ষষ্ঠ বউ, তিন মাস টিকেছিল এই বিয়ে! এই বিয়ে ভেঙে যায় তার মাদকে আসক্তির কারণে।
সবশেষ ২৭ বছর বয়সী জিম ট্রেইনার ও রাগবি খেলোয়াড় শাহনাজ পারভীন শিমু সপ্তম বউ হিসেবে সোহেল তাজের মন রাঙালেন ! আর এই বিয়ে ৬ মাস টেকে কি না এটাওদেখার অপেক্ষায়।
এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে সোহেল তাজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে- আমি কিছুই বলব না। কারণ এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আপনারাই বুঝে নিন ২টি কমেন্ট শেয়ার করলাম তা থেকে কোনটা সঠিক আর কোনটা মিথ্যা।
তার প্রথম স্ত্রী কঙ্কা করিম বঙ্গভবনের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি জাহিদুল করিমের মেয়ে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী বুলগেরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মেয়ে।
সোহেল তাজের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাগদান করা শাহনাজ পারভীন শিমু ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে। তিনি মা ও দুই ভাইকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সোহেল তাজের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে আংটি বদল করা হলো।
২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদও ছাড়েন। এরপর রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে সোহেল তাজ। কয়েক বছর ধরে ফিটনেসের প্রতিই তিনি বেশি মনোযোগী। সেসবের ছবি এবং ভিডিও প্রায়ই পোস্ট করেন ফেসবুকে। এ ছাড়া কয়েক মাস ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমালোচনামূলক বিভিন্ন বক্তব্য ও সংবাদ শেয়ার করছেন তিনি।