শিরিন শারমিন চৌধুরী যিনি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার। তিনি আজকে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিনের কাছে শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেও স্পিকার পদের শূন্যতা নিয়ে।
স্পিকার পদ যদি শূন্য হয় তাহলে সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন কে। সংবিধান অনুযায়ী শিরীন শামীম চৌধুরী পদত্যাগ করলেও নতুন স্পিকার দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল বলে গণ্য হবে। ১৩তম সংসদের নির্বাচিত স্পিকার দায়িত্ব না-নেওয়া পর্যন্ত শিরিন শারমিন চৌধুরী স্পিকার গণ্য হবেন। তিনি আসন্ন সংসদ সদস্য নির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
যে সকল কারণে স্পিকারের পথ শূন্য হয় তাহলে যদি তিনি সংসদ সদস্য পদে না থাকেন, তিনি যদি মন্ত্রী হন,যদি অপসারণের প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয়,যদি তিনি পদত্যাগ করেন অথবা কোন সাধারণ নির্বাচনের পর অন্য কোন সদস্য তার কার্যকর গ্রহণ করেন।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত পাঁচ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর ছাত্র জনতার চাপে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ৮ তারিখ অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয় এবং শপথ নেয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ২৭ দিন পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করলেন।
২০১৩ সালের ৩০শে এপ্রিল স্পিকার নির্বাচিত হন সেদিন শারমিন চৌধুরী। এর আগে স্পিকার ছিলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। আব্দুল হামিদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে ই স্পিকার পদে দায়িত্ব নেন চৌধুরী।
সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি বর্তমানে স্পিকার পদে বহাল থাকবেন। যদি সংবিধান সংশোধন করা হয় তাহলে সেটি ভিন্ন কথা। যদি সংবিধান সংশোধন না করা হয় তাহলে তিনি নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা হচ্ছে। যেহেতু বর্তমান সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছে। তারা নতুন কোন কিছু নিয়ে আসার এখতিয়ার রাখেন। তবে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দিলেও ওই পদে বহাল থাকবেন। নতুন সংসদ নির্বাচন হবে। এরপর নতুন সংসদ সদস্য আসবে। সেখান থেকে নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারনির্বাচন করা হবে।