ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে। তিনি আলোচিত সমালোচিত সাবেক বিচারপতি। একটি মামলা জনিত কারণেই তাকে আদালতে নেওয়া হবে ঢাকায়।
তিনি বর্তমানে সিলেটে রয়েছেন। তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি মূলত বর্তমানের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের হেফাজতে রয়েছেন। তাকে গত ২৩শে আগস্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ গ্রেপ্তার করে।
ঢাকার আদাবর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় অনেকগুলো আসামির মধ্যে শামসুদ্দিন চৌধুরী একজন আসামি। মামলাটি হচ্ছে পোশাক শ্রমিক রুবেলকে হত্যার বিষয় নিয়ে। নিহত রুবেলের বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম আদাবর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কথা বলা হয়েছে শামসুদ্দিন চৌধুরীর মালিক কে। এ কারণেই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে শুনানির দিন আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেদিন তাকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিলেট থেকে ঢাকায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তিনি বর্তমানে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তার সুস্থতার উপর নির্ভর করছে কবে তাকে ঢাকায় নেয়া হবে।
ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত হন মোঃ রুবেল। তিনি একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন। মোঃ রুবেলের পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম গত ২২ আগস্ট মামলাটি করেন আদাবর থানায়। মামলাটির প্রধান আসামি হলেন শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাকিব আল হাসান ফেরদৌস সহ মোটা ১৫৬ জন ব্যক্তি। এছাড়া অজ্ঞাত নাম রয়েছে চার থেকে পাঁচশ জন ব্যক্তির।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকে মূলত গ্রেফতার করা হয়েছিল তেইশে আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে। তাকে গ্রেফতার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরের দিন তাকে আদালতে তোলা হয় সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত প্রাঙ্গণে তার উপরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় তিনি জনরোষে পরেছিলেন।
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাকান্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এছাড়াও তার নামে একটি পাসপোর্ট আইন মামলা হয়েছে। তার ভারতে চেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলাটি করেছেন কানাইঘাট থানা পুলিশ গত রবিবার।