বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোকে সাধারণত জিডিপি (Gross Domestic Product) অর্থাৎ মোট দেশজ উৎপাদনের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদন ও আয় নির্ণয়ের একটি সূচক। নিম্নে ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে ধনী ১০টি দেশের তালিকা ও তাদের অর্থনৈতিক শক্তির ভিত্তি দেওয়া হলো:
১. যুক্তরাষ্ট্র (United States):
- জিডিপি: প্রায় $26.9 ট্রিলিয়ন
- বৈশ্বিক অর্থনীতির সবচেয়ে বড় অংশীদার এবং প্রযুক্তি, বাণিজ্য, এবং সামরিক ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয়।
২. চীন (China):
- জিডিপি: প্রায় $19.4 ট্রিলিয়ন
- ব্যাপক শিল্পায়ন ও রপ্তানিকেন্দ্রিক অর্থনীতির জন্য বিখ্যাত।
৩. জাপান (Japan):
- জিডিপি: প্রায় $4.2 ট্রিলিয়ন
- অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে বিশেষজ্ঞ।
৪. জার্মানি (Germany):
- জিডিপি: প্রায় $4.1 ট্রিলিয়ন
- ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি এবং অটোমোবাইল ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা।
৫. ভারত (India):
- জিডিপি: প্রায় $3.7 ট্রিলিয়ন
- দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ও সেবা খাতে শক্তিশালী।
৬. যুক্তরাজ্য (United Kingdom):
- জিডিপি: প্রায় $3.2 ট্রিলিয়ন
- আর্থিক সেবা ও ব্যাংকিং খাতে শক্তিশালী।
৭. ফ্রান্স (France):
- জিডিপি: প্রায় $3.0 ট্রিলিয়ন
- ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ শিল্প ও পর্যটন ভিত্তিক অর্থনীতি।
৮. রাশিয়া (Russia):
- জিডিপি: প্রায় $2.3 ট্রিলিয়ন
- খনিজসম্পদ, বিশেষত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের রপ্তানি গুরুত্বপূর্ণ।
৯. কানাডা (Canada):
- জিডিপি: প্রায় $2.1 ট্রিলিয়ন
- প্রাকৃতিক সম্পদ এবং উৎপাদন ও সেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ।
১০. দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea):
- জিডিপি: প্রায় $1.9 ট্রিলিয়ন
- উচ্চ প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল শিল্পে অগ্রগামী।
কেন এই দেশগুলো ধনী দেশের কাতারে:
- উন্নত প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন: উন্নত শিল্পায়ন, উচ্চ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী অর্থনীতি এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।
- বৈশ্বিক বাণিজ্য: অধিকাংশ দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করে, যা তাদের জিডিপি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার: বড় জনসংখ্যা ও শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার অনেক দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ।
- প্রাকৃতিক সম্পদ: বিশেষ করে রাশিয়া ও কানাডা প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে ব্যাপক রাজস্ব অর্জন করে।
- আরও পড়ুন ঘুমের আগে মেনে চলুন কিছু নিয়ম