জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল হাসান ওরফে রনি সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি গণমাধ্যমের কাছেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে ছাত্রলীগের আর কোনো কার্যক্রমে নিজেকে জড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।
পৌর ছাত্রলীগের এই সভাপতি সরকার পতনের পর গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। রকিবুল হাসান ত্রিশাল পৌরসভার দরিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ১২ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হন তিনি।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে মো. রকিবুল হাসান উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একান্ত ব্যক্তিগত কারণে সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। এর পরবর্তীতে আমি সংগঠনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে জড়াব না।’ তিনি পদত্যাগপত্রটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিনের কাছে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
রকিবুলের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে বের হলেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন পরিবার ও স্বজনেরা। ওই অবস্থায় গ্রেপ্তার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি থেকে বাঁচতে রাজনীতি থেকে সরতে চাপ শুরু করে পরিবার।
রকিবুল জানান, ‘ আমার বাবা শুধু কান্নাকাটি করে। উদ্ভূত পরিস্থিতে আমি পারিবারিক সমস্যার কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।’
উল্লেখ্য, একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গত বছরের ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
1 thought on “গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ”