চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা

চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশ
Spread the love

কুমিল্লার সদর দক্ষিণে এক যুবককে  চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার ছয় বছর পর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত যুবকের নাম মেহরাজ হোসেন ওরফে তুষার। মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে ওই যুবককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ে মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা।

কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মেহরাজ হোসেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেটের লোভ দেখিয়ে চার বছর বয়সী ওই শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে পাশের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে মুড়িয়ে রাখেন মেহরাজ। পরিবারের লোকজন অনেক সময় মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরদিন সকালে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই শিশুর দাদা বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ঘটনার ১৪ দিন পর পুলিশ মেহরাজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। দীর্ঘ ছয় বছরের বেশি সময় পর আজ কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্র্যাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মামলার একমাত্র আসামি মেহরাজের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ বদিউল আলম বলেন, এ মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আসামি মেহরাজ জবানবন্দিতে ওই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরেছি। অবশেষে আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এতে আমি সন্তুষ্ট। আমি দ্রুত রায় কার্যকর চাই।’

আরও পড়ুন স্কুলছাত্রীর মুখচ্ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও

 

1 thought on “চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *