নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি (Khadga Prasad Sharma Oli)। তিনি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (Unified Marxist–Leninist) এর নেতা। ওলি এর আগে তিনবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রথমবার ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়বার ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত।সর্বশেষ ২০২১ সালে দেশটির পার্লামেন্টে অস্থিরতা বিরাজ করছিল, তখন অল্প সময়ের জন্য তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৭২ বছর বয়সী কে পি শর্মা অলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান। এবার তার দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) মধ্য-বাম ঘরানার নেপালি কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠন করেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাইডেলের কার্যালয় থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি তে দায়িত্ব গ্রহণের কথা বলা হয়।
কে পি শর্মা ওলি নেপালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং কৌশল নেপালের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
ওলি ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় তেরাথুম জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে। ১৯৭০-এর দশকে তিনি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (একীকৃত মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এর সদস্য হন।
ওলি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় ১৪ বছর জেলে কাটান। ২০১৫ সালের অক্টোবরে, ওলি নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন। তার প্রথম মেয়াদে, তিনি প্রধানত ভূমিকম্পের পর পুনর্গঠন, ভারতের সাথে সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক অবরোধ, এবং নতুন সংবিধানের প্রবর্তনের সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হন। ২০১৮ সালে, ওলি আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এই সময়ে, তিনি চীন ও ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন। চীনের সঙ্গে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি করেন, যা নেপালের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তার দ্বিতীয় মেয়াদে, ওলি বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। বিশেষ করে, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির বিভাজন এবং সরকারের অকার্যকরতার অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।