মতিয়া চৌধুরী

অগ্নিকন্যা খ্যাত মতিয়া চৌধুরী আর নেই

বাংলাদেশ
Spread the love

শেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী আর বেঁচে নেই। নকলা ও নালিতাবাড়ী  নিয়ে শেরপুর-২ আসন, এখান থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। আজ বুধবার ১৬ই অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ শে জুন পিরোজপুর জেলায়। তার বাবার নাম ছিল মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী তিনি ছিলেন পেশায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার মায়ের নাম ছিল নুরজাহান বেগম এবং তিনি ছিলেন গৃহিণী। তিনি ১৯৬৪ সালে ১৮ জুন বিয়ে করেছিলেন। তার স্বামী বজলুর রহমান ছিলেন একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক। তিনি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করেছেন এবং ছাত্র অবস্থায় তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। 

বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে মতিয়া চৌধুরী রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। তিনি পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ এর দশকে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন । ১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে আহতদের সেবা শুশ্রূষায় সহযোগিতা করেছিলেন এবং ওই বছরই তিনি ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ন্যাপ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৭৯ সালে।

 

মতিয়া চৌধুরীর সর্বমোট ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে বেশ কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছিল এই নেত্রীকে। তার জেল জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একটি বইও লিখেছিলেন। তার লেখা বইয়ের নাম ‘দেয়াল দিয়ে ঘেরা’। মতিয়া চৌধুরীর কোন সন্তান নেই এবং তিনি সাদামাটা জীবন যাপন করেছিলেন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মতিয়া চৌধুরীর নামে কোন মামলা হয়নি এবং তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। তিনি সাহসিকতার সাথে রাজধানীর নিজের বাসাতেই জীবন যাপন করে জীবনের শেষ সময় গুলো পার করেছেন।

আরোও পড়ুন হান কাং: আমি বেশ অবাক ও সম্মানিত বোধ করছি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *