দীর্ঘ এক দশকের মধ্যে এই প্রথম মমতা ব্যানার্জি বড় ধরনের সংকটে পড়লেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কথাই আপনাদের বলছি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্যের পরিণতি হতে পারে তার ভাগ্যে।
বাংলাদেশের ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন সর্বশেষ রূপ নেয় এক দফা আন্দোলনের। তা ছিল এক দফা এক দাবি ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ’। বাংলাদেশের এই ছাত্র আন্দোলন এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল যে তার সাথে যোগদান করেছিল জনতা তার ফলে শেখ হাসিনা গত পাঁচই আগস্ট ২০২৪ পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান। মমতা ব্যানার্জীর ভাগ্যেও লেখা হয়ে গেছে এই এক দফা এক দাবি। মমতা ব্যানার্জি বিরুদ্ধেও পদত্যাগের স্লোগান উঠেছে।
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয়। ওই হাসপাতালে রাত্রে দায়িত্বরত ছিলেন তিনি। তার ময়নাতদন্তে মারাত্মক নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনার পদত্যাগ কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে আসলেও কলকাতার এক দফা এসেছে এই তরুণীকে হত্যার ঘটনা থেকে কেন্দ্র করে।
কলকাতার আন্দোলনের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সেখানে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রশাসন। গত বুধবার রাত্রে পালিত হয়েছে মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচি। লাখ লাখ মানুষ ও অনেক তরুণী মোমবাতি হাতে নিয়ে জড় হয়েছেন রাস্তায়। আর জি কর হাসপাতালে চালানো হয় ভাঙচুর। তছনছ করে দেওয়া হয় হাসপাতালটি। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় হাসপাতালটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে প্রশাসন। আন্দোলনের তীব্রতা দেখে তৃণমূলের অনেক নেতা কর্মী মুখ খোলেন প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
ভারতের এই এক দফা আন্দোলনে জোরালো সমর্থন আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। মুখ খুলেছেন বিরোধী দলীয় নেতা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন আমাদের দাবী এক মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ চাই। আন্দোলনের এই ভয়াবহতা ছড়াচ্ছে বিদেশেও। এতে মমতা ব্যানার্জির অবস্থা মোটেও ভালো নয় তা বলাই বাহুল্য। তবে পাল্টা অভিযোগ আছে মমতা ব্যানার্জির পক্ষ থেকে। তিনি বলেন সিপিএম এবং বিজেপি ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে। আমি ক্ষমতার পরোয়া করিনা।
পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটির অপেক্ষায় থাকলাম। আপনাদের কোন মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।