আজ ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মাহমুদুর রহমান কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি জামিন চাইতে গেলে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়। এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত আইনি জটিলতার কারণেই জামিনে এর আগে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন মাহমুদুর রহমানের জামিনের আদেশ কপি আদালত থেকে দুপুরে কারাগারে পৌঁছেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর তাকে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কারামুক্তির পর মজলুম এই ব্যক্তিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হাজারো জনতা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও তাকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২৩ সালের ১৭ই আগস্ট সজিব ওয়াজেদ জয় কে অপহরণ ও হত্যা চেস্টার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং শফিকুর রহমান সহ পাঁচ জনকে পৃথক দুটি ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগ অনুসারে, সেপ্টেম্বর ২০১১ সালের আগে যে কোন সময় জাসাস নেতা মোঃ উল্লাহ সহ বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাগণ ঢাকা শহরের পল্টনে জাসাস কার্যালয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আসামিরা বৈঠকে অংশ নেন। তারা শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়তে যুক্তরাষ্ট্র অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ই আগস্ট বাদি হয়ে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে পুলিশ এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয়। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেয়।
গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসেন মাহমুদুর রহমান।
আরোও পড়ুন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ১৭৯
1 thought on “মাহমুদুর রহমানের জামিনে মুক্তি”