ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

নৌ ও বিমান বাহিনীকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান

বাংলাদেশ
Spread the love

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করে। গতকাল সোমবার ৩০শে সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগের প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে নতুন করে প্রকাশ করে। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।

 

সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এবং এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ। পাশাপাশি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী হল সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী বলতে বুঝায় সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বাহিনী ।

 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে ভারতে অবস্থান করেন। ৬ই আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। ডঃ মোঃ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।

 

অভিযোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছে পুলিশ বাহিনীকে। জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয় বহুবার এবং ব্যাপক আকারে। পুলিশের সাথে সাধারণ জনগণের দূরত্ব যেমন বেড়ে গিয়েছিল সহিংসতাও তেমন মারাত্মক আকারে হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে শত শত ছাত্র নিহতের ঘটনা যেমন ঘটেছে ঠিক তেমনি থানায় ঢুকে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাক্রমে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে বাংলাদেশ থেকে চলে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অবনতি লক্ষ্য করা যায়। থানা ছেড়ে পালিয়ে যায় অনেক পুলিশ। পাশাপাশি সারা দেশের পুলিশ কর্মবিরতি ঘোষণা করে। 

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এই চরম অবনতি লক্ষ্য করে অন্তবর্তী সরকার পুলিশকে কর্ম যোগদানের জন্য সময় বেধে দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দ্বিতীয় মাস প্রায় শেষের দিকে কিন্তু এখনো অনেক পুলিশ কর্মে যোগদান করেনি। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অন্তর্ভুক্তি সরকার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করলো।

আরোও পড়ুন অন্তর্বর্তী সরকার কী কী কাজ করতে পারবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *