আগামীকাল কানপুরে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট। কানপুরে আগামীকালের টেস্ট এর আগে আজ একটি সংবাদ সম্মেলন করেন সাকিব আল হাসান। সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। আগামী অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে পারলে এটাই হবে সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। ক্যারিয়ারের টি-টোয়েন্টিতে তিনি বলেন আমার শেষ টি-টুয়েন্টি ইতোমধ্যেই খেলে ফেলেছি গত বিশ্বকাপে। এরপর প্রশ্ন করা হয় ওয়ানডে খেলা নিয়ে তার চিন্তা ভাবনা কি। সাকিব আল হাসান বলেন আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পর্যন্ত খেলতে চান তিনি।
সাকিব আল হাসানকে দেশের মাঠে অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট খেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে সাকিব আল হাসান সেই টেস্ট সিরিজ থেকেই নিজের বিদায়ের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন এখন পর্যন্ত তো আমি খেলার জন্য অ্যাভেলেবেল কিন্তু সবকিছু তো আমার উপর নির্ভর করে না দেশের পরিস্থিতির একটি ব্যাপার আছে। তিনি বিসিবির সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার কথা জানান। বিসিবির কাছে তার নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন এটি আমার শেষ টেস্ট সিরিজ তাই আমি এটি ভালোভাবে ফিল করছি।
টি-টোয়েন্টিতে অবসরের ঘোষণা দিলেও ফেরার একটু ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন আমি যদি ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পাই ওখানে যদি ভাল করতে থাকি তাহলে ৬ মাস বা ১ বছর পর যদি কখনো বিসিবি মনে করে যে আমার একটি অবদান রাখার সুযোগ আছে আমি পারফর্ম করছি এবং ফিট আছি তখন আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
সাকিব আল হাসানের টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। ওই ম্যাচে বল করে ১ উইকেট নিয়েছিলেন আর ব্যাট হাতে ২৬ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।
কোন ধরনের অভিমান থেকে টেস্ট ছাড়ছেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তাকে তিনি বলেন অভিমান থেকে নয় আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময় সরে যাওয়ার জন্য এবং নতুনদের খেলায় আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। টি-টোয়েন্টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেখানেও তিনি প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন বোর্ডের সঙ্গে, নির্বাচকদের সঙ্গে, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে নতুন খেলোয়াড় আসুক এবং সুযোগ দেওয়া হোক এটাই চাওয়া।
সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন আমার মনে হয় নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। সামনের সিরিজ গুলোতে আমার খেলার কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। ২০২৬ সালের বাংলাদেশের দিকে যদি তাকাই তাহলে এটাই বাংলাদেশের জন্য ভালো। আমরা সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে জবাবে তিনি বলেন আমি খুশি আমার কোন অনুশোচনা নেই। আমার জীবনে কখনো অনুশোচনা ছিল না এখনো নেই। যতদিন ক্রিকেট খেলেছি ততদিন উপভোগ করেছি। বলেন আমার মনে হয় এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং আমার জন্য সঠিক সময় আর এই কারণে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরোও পড়ুন বিসিবিতে যেভাবে ‘নিজের রাজ্যত্ব’ গড়ে তোলেন নাজমুল হাসান পাপন