বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিন সারাদেশে ব্যপক হামলা ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় সারাদেশে প্রায় একশ জন নিহত ও দুইশতের উপর আহত হয়। এই আন্দোলনে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা; ১৩ পুলিশ নিহত হয়েছে।নৃসংশ হামলায় এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকও নিহত হয়েছেন বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এ ছাড়া আন্দোলনে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য হামলায় নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে হাজার হাজার আন্দোলনকারী এনায়েতপুর থানার দিকে আসতে থাকে। থানায় হামলার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। থানায় ঢুকেই কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় পুরো এনায়েতপুর ও আশেপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এনায়েতপুর থানায় হামলা সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, প্রথমে হাজারখানেক মানুষ দলবেঁধে থানার দিকে আসে এবং অতর্কিতে থানায় হামলা চালায়। তাঁরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পুলিশ সদস্যকে মারার পর গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। ১৩ জন পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম, পরিচয় বা পদবি শনাক্ত করা যায়নি।
হামলার ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে সন্ত্রাসীভাবে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেন এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যা করেন।’তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। সন্ত্রাসীরা যেভাবে থানায় ঢুকে পিটিয়ে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেব।’