বাংলাদেশের কোটা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের কোটা ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ শিক্ষা
Spread the love

 বাংলাদেশে সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত বিষয়। কোটা ব্যবস্থা মূলত সংরক্ষিত আসন বা স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা বিশেষ কিছু শ্রেণীর মানুষের জন্য নির্ধারিত থাকে। এখানে কিছু মূল পয়েন্ট তুলে ধরা হলো:

কোটা ব্যবস্থার ধরন

  1. মুক্তিযোদ্ধা কোটা: মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষিত।
  2. নারী কোটা: সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য সংরক্ষিত।
  3. আদিবাসী কোটা: আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত।
  4. প্রতিবন্ধী কোটা: শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত।
  5. জেলা কোটা: পিছিয়ে পড়া জেলা বা এলাকার জনগণের জন্য সংরক্ষিত।

বিতর্ক ও সমালোচনা

  • অসন্তোষ: কোটা ব্যবস্থার কারণে অনেক সময় মেধাবীরা চাকরি বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ তোলা হয়।
  • সংস্কার ও পরিবর্তন: ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের পর কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি ওঠে। সরকার কিছুটা পরিবর্তন আনে এবং কিছু কোটা বাতিল করে।
  • সংবিধান ও নীতি: কোটা ব্যবস্থা সংবিধানের সাম্যের নীতি লঙ্ঘন করছে কিনা, সে বিষয়েও বিতর্ক রয়েছে।

কোটা ব্যবস্থা সংস্কার

২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সরকার কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করে। এতে কিছু কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বাতিল করা হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে কোটা শতাংশ কমানো হয়। এই আন্দোলনের ফলে কোটা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং সরকার বেশ কিছু পরিবর্তন আনে। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো হল:

  1. কোটা ব্যবস্থার পর্যালোচনা: সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা 
  2. করতে।
  3. সর্বোচ্চ ৫৬% কোটা: পূর্বে ৫৬% কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তে এটি কমিয়ে আনা হয়।
  4. মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ: কোটা পূরণের পর বাকি পদগুলো মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হয়।

বর্তমান কোটা ব্যবস্থা

বর্তমানে বাংলাদেশে কোটা ব্যবস্থা নিম্নরূপ:

  • মুক্তিযোদ্ধা কোটা: ৫%
  • নারী কোটা: ১০%
  • পিছিয়ে পড়া জেলা কোটা: ১০%
  • আদিবাসী কোটা: ৫%
  • প্রতিবন্ধী কোটা: ১%

কোটা ব্যবস্থার প্রভাব

  1. সামাজিক উন্নয়ন: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সহায়ক।
  2. মেধা ও ন্যায়বিচারের সমন্বয়: মেধাবীদের সুযোগ নিশ্চিত করা।
  3. সমাজের সমতা: বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বাংলাদেশে কোটা ব্যবস্থা আরও পর্যালোচনা এবং সংস্কারের মাধ্যমে

কোটা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ

  1. মেধার অবমূল্যায়ন: কোটা ব্যবস্থার কারণে অনেক মেধাবী প্রার্থীরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। এ ধরনের অভিযোগ প্রায়ই উঠেছে, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং জেলা কোটার ক্ষেত্রে।
  2. অপব্যবহার ও দুর্নীতি: কোটা ব্যবস্থার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও উঠে।
  3. অপর্যাপ্ত পরিসংখ্যান: সঠিক পরিসংখ্যানের অভাব রয়েছে, যা কোটা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কোটার পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।
  4. সমাজে বিভাজন: কোটা ব্যবস্থা সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *