২০২৪ সাল শেষের আগেই করুন ৭টি কাজ

শুরু হয়ে গেছে ২০২৫ সালের কাউন্টডাউন। তাই ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই আপনার জীবনকে আরও অর্থবহ, সফল এবং সুখী করতে নিচের ৭টি কাজ করার চেষ্টা করুন।

১. ফিরে তাকান
সময় করে ২০২৪–এর একেবারে শেষে এসে বছরটার দিকে একটু ফিরে তাকান। আপনার জীবনে সবচেয়ে ভালো  কী ঘটেছে এই বছরে,  গিয়েছিলেন কোথায় ঘুরতে, সেই স্থানের স্মৃতি কী, শিক্ষা নেওয়ার আছে কোন ঘটনাগুলো থেকে, সেগুলো কী, আপনার কোন কাজ নিয়ে আপনি গর্বিত, এসবে নজর দিন। ২০২৪ সালে তোলা সবচেয়ে সুন্দর ছবি কোনগুলো, সেখানেও চোখ বুলিয়ে নিন।

২. আপনি কেন ২০২৪ সালের প্রতি কৃতজ্ঞ
২০২৪ সালে কোন ঘটনাগুলোর জন্য আপনি কৃতজ্ঞ, সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। হতে পারে তা বড় কোনো জয় বা অর্জন, ছোট কোনো ঘটনা, সুন্দর একটি দিন, শীতের সকালে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি অথবা মজাদার খাবার  …আপনি কোন কোন মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ এবং কেন কৃতজ্ঞ তার একটা তালিকা তৈরি করে মনে মনে তাঁদের ধন্যবাদ জানান।

৩. ডিক্লাটার
আপনার ঘরের ফ্রিজ পরিষ্কার করুন, আলমারি গুছিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত জিনিসপত্র, জামাকাপড় যা কিছু আছে, প্রয়োজনীয়গুলো বাতিল করুন বা এমন কাউকে দিয়ে দিন যার সেই জিনিসের প্রয়োজন। আপনার দরকারি জায়গা খালি করুন। একইভাবে ফোনের অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন ছবি, ভিডিও, অ্যাপ, ডকুমেন্ট ডিলিট করুন। একইভাবে মনের ভেতর যত ক্ষোভ বা নেতিবাচকতা আছে, সেগুলোকে মিলিয়ে যেতে দিন।

এককথায় নিজের ঘরবাড়ি, ফোন, অফিস স্পেস, মন সবই ডিক্লাটার করুন। যা কিছু আর ২০২৫ সালে প্রয়োজন নেই, সেগুলো বাতিল করুন। নতুন বছরের জন্য নিজেকে নতুনভাবে ইতিবাচকতার সঙ্গে প্রস্তুত করুন।

৪. কাছের মানুষদের সঙ্গে ‘রিকানেক্ট’ করুন
আপনার জীবনসঙ্গীকে ২০২৪ সালে আপনার জীবনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে, ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখতে পারেন। আপনার সবচেয়ে কাছের ১০ জন মানুষের তালিকা করুন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। খোঁজখবর নিন। কাছের মানুষদের সঙ্গে ‘রিকানেক্ট’ করার আনন্দ আপনাকে নতুন বছরের জন্য ইতিবাচকতার শক্তি জোগাবে।

৬. ২০২৪ সালের সবচেয়ে বড় অর্জন উদ্‌যাপন করুন

 একটা কঠিন সময় পার করার জন্য নিজেকে কোনো উপহার দিতে পারেন। আপনার জীবনের কঠিনতম সময়ে ২০২৪ সালে যাঁরা আপনার পাশে ছিলেন, কোথাও খেতে যান তাঁদের নিয়ে, উপহার দিন, ধন্যবাদ দিন।

৫.  ২০২৫সালে আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন

আপনার জীবনের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। এটি হতে পারে ক্যারিয়ার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য। উদাহরণ: হতে পারে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন জিমে যাবেন, একটি নতুন স্কিল শেখা, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, বা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অথবা, হতে পারে পেশাজীবনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য, বিদেশভ্রমণ, নিজের প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো, গাড়ি কেনা বা নির্দিষ্ট অর্থ উপার্জন ইত্যাদি।

৭. নতুন কিছু শুরু করুন

নতুন বছরের অপেক্ষায় না থেকে এখনই নতুন কিছু শুরু করুন। সেটা হতে পারে কোনো কোর্স, দক্ষতা বা নিজের ছোট্ট স্টার্টআপ।

আরও পড়ুন অফিসে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ