কৃষক গুপ্তধন ভেবে গ্রেনেড বাড়িতে

কৃষক গুপ্তধন ভেবে গ্রেনেড বাড়িতে রেখেছিলেন

বাংলাদেশ
Spread the love

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সানিয়াজান নদীতে এক মাস আগে মাটি কাটতে গিয়ে একটি পরিত্যক্ত ধাতব বস্তু কুড়িয়ে পান লেবু মিয়া নামের এক কৃষক। গুপ্তধন ভেবে এটি তিনি নিজের কাছেই রেখে দেন। এক মাস পর ভুল ভাঙে লেবুর। তিনি জানতে পারেন যে ওই ধাতব বস্তু কোনো গুপ্তধন নয়, বরং পুরোনো গ্রেনেড। এটি আজ সোমবার স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কৃষক লেবু মিয়া উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের বাউরা বাজার এলাকার বাসিন্দা মোফাজ উদ্দিনের ছেলে। গ্রেনেডটি তিনি পাটগ্রাম থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার। গ্রেনেডটির ওজন আনুমানিক ৫০০ গ্রাম। এটি অনেক পুরোনো। গ্রেনেডটি ছোট হওয়ায় হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব জানিয়ে ওসি সাংবাদিকদের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যে এটি ৭১ সালের গ্রেনেড। এটি নিষ্ক্রিয় করতে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  কৃষক লেবু মিয়া পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের বাসিন্দা। ওই ইউনিয়নের সানিয়াজান নদীতে এক মাস আগে মাটি কাটতে গিয়ে পুরোনো গ্রেনেডটি পান। প্রথমে এটিকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে বাড়িতে রেখে বিভিন্নভাবে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন তিনি। পরে বুঝতে পারেন যে এটি গুপ্তধন নয়, গ্রেনেড হবে। পরে গতকাল রোববার রাতে বিষয়টি তিনি স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নবীনগর ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের জানান। বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মজিবুর রহমান থানা–পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।

কৃষক লেবু মিয়ার ভাষ্যমতে, ২৫-৩০ দিন আগে নদীতে মাটি কাটার একপর্যায়ে মাটির নিচে কোদালের আঘাতে শব্দ পান। পরে তিনি লোহার মতো জিনিসটি পান। এটি গুপ্তধন মনে করে বাড়ি নিয়ে রাখেন।

আরও পড়ুন শ্রীলঙ্কা 2024: বাংলাদেশ 2026?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *