পাগলা কুকুরের কামড়ে হবিগঞ্জে আহত

পাগলা কুকুরের কামড়ে হবিগঞ্জে আহত ১৫০

বাংলাদেশ
Spread the love

এক পাগলা কুকুরের কামড়ে হবিগঞ্জ শহরে দেড় শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত কে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার  করেছেন।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে একটি পাগলা কুকুরকে সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়াতে দেখা যায়। কুকুরটি সামনে যাকে পেয়েছে, তাকেই কামড়াতে থাকে। এভাবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শহরের নানা স্থানে দেড় শতাধিক মানুষকে  কামড়ায় কুকুরটি।

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,কুকুরে কামড়ে সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত আহত ১৫০ জনকে তাঁরা চিকিৎসা ও টিকা দিয়েছেন। গুরুতর আহত ২০ জন ভর্তি হয়েছেন।

দুপুর ১২টার দিকে শহরের মাতৃছায়া কিন্ডারগার্টেনে সন্তানকে নিতে আসেন অভিভাবক অর্জিত দাশ (৪০)। প্রতিষ্ঠানটির গেটের কাছে যাওয়ামাত্রই হঠাৎ কুকুর তাঁর হাঁটুতে কামড়াতে থাকে। তাঁর পাশে থাকা অপর এক অভিভাবককেও একইভাবে কামড় দেয় কুকুরটি। একইভাবে শহরের পৌর বিপণির সামনে রিকশা থেকে নেমে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন জয়ন্তী দাস নামের এক নারী। কিছু বোঝার আগেই কুকুরটি তাঁর পায়ে কামড়ে ধরে। এ সময় এক ব্যবসায়ী কুকুরটি ছাড়াতে লাঠি নিয়ে এগিয়ে এলে কুকুরটি ওই ব্যক্তির ঘাড় কামড়ে ধরে। এভাবে শহরের ডাকঘর, বাণিজ্যিক এলাকা, পুরান মুন্সেফ, টাউন হল সড়ক, সিনেমা হল রোডসহ শহরে বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় কুকুরটি। শহরের ১৫০ জনকে কামড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে।

শহরের মাতৃছাড়া কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক বন্ধুমঙ্গল রায় প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে আকস্মিক পাগলা কুকুরটি তাঁদের স্কুলে ঢুকে পড়ে। এ সময় স্কুলের ভেতরে দুজন অভিভাবককে কামড় দেয়। তখন স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ভয়ে শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে নিজেদের নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়। পরে পৌরসভার লোকজন খবর পেয়ে এ স্কুলে আসে। প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর লোকজন কুকুরটিকে হত্যা করেন।

আরও পড়ুন রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *