মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা দিবে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তারা ১৯৯ মিলিয়ন ডলার যা প্রায় ২০ কোটি ডলারের সমান সহায়তা দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এ ঘোষণা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার পর তিনি এ ঘোষণা দেন।
এই ২০ কোটি ডলারের মধ্যে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা আর ৭ কোটি ডলার দেবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজম এবং মাইগ্রেশন থেকে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। ২০১৭ সালের পর আঞ্চলিকভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ বাংলাদেশের হাতেই দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশকে প্রায় ২১০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া আর্থিক সহায়তার বড় একটি অংশ রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যপণ্য ক্রয় করে বিতরণ করা হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে একটি বিবৃটি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতি উল্লেখ করা হয় এই অঞ্চলের সংকট পীড়িত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অন্য দাতাদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয় রোহিঙ্গাদের জন্য যে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে তার ৭ কোটি ডলার দেওয়া হবে পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা শরণার্থী ও অভিবাসন দপ্তর থেকে। ইউএসএআইডি বা যুক্তরাষ্ট্র আন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা দেবে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয় সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন তাদের জীবন বাঁচানো, সুরক্ষা প্রদান ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব অর্থ সহায়তা দেবে। এসব আর্থিক সাহায্য দুর্যোগের প্রস্তুতি, শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় সহায়তা করবে পাশাপাশি শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জোরদার করা যাবে এবং পরিস্থিতি অনুকূলে এলে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।
আরোও পড়ুন গতি বেড়েছে দুদকের তৎপরতায়